ইউক্রেনে আবারও ভয়াবহ আকাশ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া এবার একসঙ্গে শত শত ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার অনেকগুলোই বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।
রাতভর ব্যাপক হামলা
রাশিয়া শনিবার ইউক্রেনজুড়ে প্রায় ৫৮০টি ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জেলেনস্কির দাবি, হামলার উদ্দেশ্য ছিল কেবল সামরিক নয়, বরং বেসামরিকদের আতঙ্কিত করা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা।
দিনিপ্রোয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত
দিনিপ্রো অঞ্চলের এক আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র পড়লে অন্তত একজন নিহত হন এবং আহত হন ২৬ জন। ভবনের ছাদ ধসে যায়, জানালাগুলো ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দেন।
উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণহানি
চেরনিহিভ অঞ্চলে একজন এবং খমেলনিতস্কি অঞ্চলে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
হামলার কৌশল বদলাচ্ছে রাশিয়া
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এখন নতুন কৌশল নিয়েছে। যুদ্ধের শুরুতে যেখানে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ডজনখানেক ড্রোন ব্যবহার করত, এখন তা এক লাফে কয়েকশ’তে পৌঁছেছে। এতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বড় চাপে পড়ছে।
ন্যাটোর আকাশে রুশ অনুপ্রবেশ
এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় শুক্রবার প্রায় ১২ মিনিট অবস্থান করে রাশিয়ার তিনটি সামরিক বিমান। যদিও রাশিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে পোল্যান্ডের আকাশেও প্রবেশ করেছিল রুশ ড্রোন, যেগুলোর কিছু গুলি করে নামাতে বাধ্য হয় তারা।
ন্যাটোর বাড়তি সতর্কতা
এসব ঘটনার পর ন্যাটো ইউরোপের পূর্বাংশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়া মূলত জোটের সংকল্প ও প্রস্তুতি পরীক্ষা করছে।
পোল্যান্ড ও মিত্রদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন
রুশ হামলার সময় পোল্যান্ড সতর্ক অবস্থায় ছিল। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়। পোল্যান্ড ও মিত্র দেশগুলোর যুদ্ধবিমানও আকাশে টহল দেয়। ব্রিটিশ সময় ভোর ৫টার দিকে রাশিয়ার হামলা বন্ধ হলে এই অভিযান সমাপ্ত হয়। সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান