চীন তার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে ফিলিপাইনকে দক্ষিণ চীন সাগরে যেকোনো ধরনের উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছে। এই সতর্কবার্তা এমন সময়ে দেওয়া হলো যখন চীন ওই এলাকায় তার নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করতে টহল অব্যাহত রেখেছে এবং নতুন পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
চীনের সামরিক বাহিনীর সাউদার্ন কমান্ডের একজন মুখপাত্র ফিলিপাইনকে উদ্দেশ করে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে ফিলিপাইনের যৌথ মহড়ার কথা উল্লেখ করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়ে বছরে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়।
ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে সতর্ক করছি যে তারা যেন দক্ষিণ চীন সাগরে অবিলম্বে উসকানিমূলক ঘটনা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করা বন্ধ করে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বাইরের শক্তিগুলোকে এখানে নিয়ে আসা থেকেও বিরত থাকুক। কারণ এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের সমস্যা তৈরি বা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা সফল হবে না। ফিলিপাইনের নৌ ও সামরিক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সতর্কবার্তা এমন এক সময় এল যখন মার্কিন এশিয়া প্যাসিফিক কমান্ড একটি বিবৃতিতে জানায় যে, জাপান, ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ফিলিপাইনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যৌথ নৌ-মহড়া পরিচালনা করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবাধ ও উন্মুক্ত রাখতে সহায়তা করা।
মার্কিন কমান্ড আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে মিলে নৌ ও আকাশপথের অবাধ চলাচল এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সমুদ্রের অন্যান্য বৈধ ব্যবহারের অধিকার সমুন্নত রাখে।
এর কয়েক দিন আগে গত বুধবার চীনের স্টেট কাউন্সিল বিতর্কিত স্কারবোরো শোয়ালের ৩,৫০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এটি মূলত একটি দ্বীপ এবং এটি দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত। চীন ও ফিলিপাইন উভয়েরই দাবি করা একটি বিতর্কিত অঞ্চল এই দ্বীপ।
ফিলিপাইন এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেন, বেইজিং বিস্তৃত সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক দাবি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সূত্র: আল-জাজিরা